ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরার শালিখায় সাংবাদিক নির্যাতনকারি ২ জনকে আটক করেছে থানার পুলিশ। আটককৃতরা হলেন মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের শফি মুন্সী ও সাব্বির হোসেন এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
শালিখা থানার মামলা নং- ১৩ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ১৭ মার্চ সাড়ে ৫ টার সময় স্যাটেলাইট চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক মোঃ রাজিব হোসেন (৩০) ও দৈনিক কল্যাণ পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোঃ হোসেন আলীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।
ঘটনা বিবরণ হলো, আড়পাড়া গ্রামের মৃত ইরাদ আলী মুন্সীর পুত্র শফি মুন্সী (৫০), শফি মুন্সির পুত্র সাব্বির হোসেন (২৫) এবং অজ্ঞাত ৩-৪ জন শালিখা উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের মোঃ মফিজুর রহমানের পুত্র সাংবাদিক মোঃ রাজিব হোসেন (৩০) ও দক্ষিণ শরুশুনা গ্রামের শাহাদাৎ শিকদারের পুত্র সাংবাদিক হুসাইন আলী (৪০) হত্যার জন্য দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধর করে।
সাংবাদিক রাজিব হোসেন সংবাদ সংগ্রহের কাজ শেষ করে তার ব্যবহৃত সাদা রংয়ের প্রাইভেট গাড়িযোগে চুকিনগর গ্রাম হতে আড়পাড়া বাজারে আসার পথে সাব্বির হোসেন প্রাইভেট গাড়ির ডান পাশের লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে দেয়। এ সময় উভয়ের বাকবিতন্ডা হলে সাব্বির হোসেন তার পিতাকে ফোন করে। তার পিতা শফি মুন্সি ৫.৪০ টার সময় এসেই উত্তেজিত হয়ে লোহার রড দিয়ে রাজিবের মাথার পিছনে আঘাত করে এবং অন্যান্য আসামিদের মারার হুকুম করে।
এ সময় শফি মুন্সি সাংবাদিক রাজিবের প্যান্টের পকেট থেকে ৫ হাজার ৩ শত টাকা নিয়ে নেয় ও একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ভাংচুর করে। এ সময় সাংবাদিক হোসেন আলী সন্ত্রাসী হামলা ঠেকাতে গেলে তাকেও আসামিরা জখম করে। এরপর স্থানীয়রা সাংবাদিক রাজিব ও সাংবাদিক হোসেন আলীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাজিব আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার স্বাক্ষরিত এজাহারটি আশিকুর রহমান শিপনের মাধ্যমে শালিখা থানায় প্রেরণ করে।
সাংবাদিক হোসেন আলী ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে জানান, শফি মুন্সি ঘটনা স্থলে পৌছানো মাত্র তার ছেলে সাব্বির হোসেনসহ অন্যান্য আসামিদের বলে রাজীবকে মেরে ফেলে দে। আমি সাংবাদিক রাজিবের মারধর ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও ব্যাপক আকারে মারধর করে। মাথা ও সমস্ত শরীরে আঘাত এবং কান দিয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে, যার কারণে ঠিকমতো কানে শুনতে পারছি না। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় বিচার ও কঠিন শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।
শালিখা থানার তদন্ত কর্মকর্তা মিলন কুমার ঘোষ জানান, ইতিমধ্যে শালিখা থানার পুলিশ সদস্যরা আক্রমণকারী পিতা ও পুত্রকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকী অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply